ওজন কমানোর বিজ্ঞানসম্মত ও সহজ উপায়

স্বাস্থ্যই সকল সুখের মুল – এ প্রবাদটি আমরা কম বেশি সকলেই জানি।কিন্তু জীবনের কোনো একটা সময় হয়তো এই সুস্থতা ধরে রাখা কঠিন হয়ে পরে। স্থুলতার সমস্যার জড়িত অনেকে বিভিন্ন ডায়েট চার্ট ফোলো করে শরীরের বাড়তি মেদ কমানোর চেষ্টা করছেন।কেউ কেউ আবার জটিল অস্রোপ্রাচারেও পিছপা হচ্ছেন না।অনেক ডায়েটেশিয়ান এর কাছে ছুটে যাচ্ছেন জীমে গিয়ে শরীরচর্চা করছেন।

ওজন কমানোর বিজ্ঞানসম্মত ও সহজ উপায়
ওজন কমানোর বিজ্ঞানসম্মত ও সহজ উপায়
এর পরেও সবাই চায় সহজ উপায়ে ওজন কমাতে।ওজন কমানোর কিছু বিজ্ঞান সম্মত ও স্বাস্থ্যকর বিষয় নিচে আলোচনা করা হলোঃ
১. নিয়মিত পানি পান না করাঃ প্রতিদিন ৮-১০ ঘন্টা পানি পান করা উচিত।আমরা অনেকেই ওজন বেড়ে যাবে এই ভয়ে প্রয়োজনীয় পানি পান করি না। যা একদম সঠিক নয়।ওজন কমাতে নিয়মিত পানি পান করলে তা শরীরের বাড়তি মেদ কমাতে সাহায্য করে।তাই নিয়মিত পানি পান করুন।
 
২.দৈনিক ৭-৮ ঘন্টা ঘুমঃ অনেকে মনে করে বেশি ঘুমালে ওজন বেড়ে যায়।তাই তারা প্র‍য়োজনের তুলনায় অনেক কম ঘুমান।এটা সঠিক নয়। দৈনিক ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানো উচিত।প্রয়োজন এর তুলনায় কন ঘুমালে শরীর থেকে করটিসল নামক হরমোন উৎপাদন বাড়তে থাকে, যার ফলে ওজন বেড়ে যায়।তাই ওজন কমাতে নিয়মিত ৭-৮ ঘন্টা ঘুমান।
 
৩.সকালের নাস্তা পরিহার করাঃ ওজন কমাতে আমরা অনেকে সকালের নাস্তা খাওয়া বাদ দিয়ে দেই। কিন্তু সকালের নাস্তা বাদ দিলে ওজন কমে না বরং শরীর দূর্বল ও অসুস্থ হয়ে পরে। তাই নিয়মিত সকালে নাস্তা গ্রহণ করুন।
 
৪. কার্বোহাইড্রেট একেবারেই বাদ দেয়াঃ আমরা অনেকে ওজন কমাতে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বাদ দিয়ে ফেলি।এর ফলে ওজন কমলেও পরবর্তীতে দেখা দিতে পারে নানান সমস্যা। যেমন স্কিন কালো হয়ে যাওয়া,মাথা টাক হয়ে যাওয়া,চামড়া লুজ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। এমনকি ওজন কমানোর পর তা দ্বিগুন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ও থাকে।তাই কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার একেবারে বাদ দেয়া উচিত নয়।সঠিক পরিমান কার্বোহাইড্রেট রাখুন খাবারের তালিকায়।
 
৫.অনেক কম খাওয়া বা একেবারেই না খাওয়াঃ ওজন কমাতে গিয়ে অনেকে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম খাবার গ্রহণ করেন কেউ কেউ আবার খাওয়া বাদ দেন। এর ফলে শরীর দূর্বল হয়ে পরে,প্রেশার লো হয়ে যেতে পারে এমনকি মারাত্মক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা ও থাকে।মনে রাখবেন ডায়েট চার্ট হচ্ছে সঠিক ও পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা,না খেয়ে থাকা নয়।তাই সঠিক ডায়েট ফোলো করে শরীরের ওজন কমান ও সুস্থ থাকুন।
 
৬. ওজন কমানোর ব্যাপারে ধৈর্য ধারণ না করাঃ অনেকে ওজন না কমার কারণে অল্পতেই অধৈর্য হয়ে পরে। কেউ কেউ আবার সারাদিন ওয়েট মেশিনের সামনে দাড়িয়ে থাকে। আবার কেউ কেউ কিছুদিন ডায়েট ফোলো করে আবার ছেড়ে দেন।মনে রাখতে হবে নিশ্চয়ই কষ্টের পর রয়েছে স্বস্তি।তাই ওজন কমানোর ব্যাপারে ধৈর্য ধারণ করতে হবে।
 
৭.নিয়মিত শরীরচর্চা না করাঃ অনেকে মনে করে শুধু ডায়েট চার্ট ফলো করলেই ওজন কমানোর জন্যে যথেষ্ট। মনে রাখতে হবে সঠিক ডায়েট চার্ট এর পাশাপাশি  নিয়মিত শরীরচর্চা আপনার শরীরের বাড়তি মেদ ঝড়াতে সাহায্য করবে। এক্ষেত্রে ডায়েট ৮০% ও শরীরচর্চা ২০% ভূমিকা রাখে।তাই ডায়েট করার পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাস ও গড়ে তুলুন।
 
৮.রাতে লেট করে ঘুমানো ও সকালে লেট করে ঘুম থেকে উঠাঃ অনেকেই রাতে লেট করে ঘুমাতে যান এবং সকালে ঘুম থেকেও লেট করে উঠেন। এই অভ্যাস বাদ দিতে হবে।রাত ১০-১১ টার মধ্যে ঘুমাতে যান এবং সকালে ৬-৭ টার মধ্যে উঠুন।
 
সঠিক ও স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন আমাদের সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।নিয়মিত ও সঠিক পরিমানে খাবার গ্রহণ করুন,সপ্তাহে অন্তত ৪ দিন শরীরচর্চার অভ্যাস গড়ে তুলুন।প্রয়োজনীয় পানি পান করুন।সকল বাজে অভ্যাস পরিত্যাগ করুন।বাহিরের খাবার কম খান।তবেই সুস্থ থাকতে পারবেন।